পৃথিবী থেকে সেই দিন আমার অস্তিত্ব বিলীন

আমার বন্ধু অসীমার প্রতি
তুমি কোথা থেকে আসছো?
ঝর্ণার বুকে এক আগুন আহত আশ্রয় খুঁজেছিলো আমি সেখানে তার যত্ন নিয়ে,,,
তার কোথাই ভাড়ি আঘাত পেয়েছে?
তার বুকে যেখান থেকে আগুন অক্সিজেন নেয়
সেখান টা বেশ ভাড়ি কালো পাথরের পাহাড় আটকে গেছে; তার দীর্ঘ শ্বাস —
তুমি কি ক্লান্ত?
এসো বিশ্রাম করো আমার উড়োতে মাথা রাখো আমি তোমার যত্ন নেবো।
তুমি কি ঘুমাবে?
তুমি ঘুমও শেষ রাতের শীতে আমার শরীরে উত্তাপ তোমাকে উষ্ণতা দেবে তোমার ঘুম ভালো হবে।
অসীমা চোখ বুজে ঘুমে পরে; সে খুব ক্লান্ত
কিছুক্ষণের মধ্যে গলা জড়িয়ে ধরে অসীমা -শীত করে
অসীমা মাথা নাড়ে নাকের গরম বাতাস তাকে তার শ্বাস প্রশ্বাস বাড়িয়ে যেতে দেয় নির্দিধায়।
একসময় তার গায়ে আগুন ধরলো
অসীমা ভয় পাচ্ছো অসীমা হাসে সব থেকে সুখের হাসি যা সব থেকে ছোট্ট —
এবার দু'জনেই আগুনে
চোখ পুড়ে যাওয়ায়, গলা পুড়ে যাওয়া, হাত পা পুড়ে গলে যাওয়া
আর কিছুই দেখা যায় না বলা যায় না লিখা যায় না
ঘ্রাণ পায় পারমাণবিক আবর্জনার এরপর থেকে আর ঘ্রাণ আমি পাই না। পৃথিবী থেকে সেই দিন আমার অস্তিত্ব বিলীন!


০৬/০৩/২০২১
রাত-১১ঃ৫৭, ঘরের কোণে।একলা হাওয়া।

Post a Comment

0 Comments