সন্ধ্যা থেকে কুচপুকুরের পাড়ের দোকানে
অনেকই আসে যাই, অনেকেই বসে থাকে ঘরেএইসব হিসেব ভাড়ী করে আমায়
তারপর তুমি নেই
তার আগেও তুমি নেই
তুমি কোথাও নেই, অথচ কতো কাছে যেনো পুকুরের চারপাশ যতোগুলো সুন্দরী শ্রী কামীনিও আছে
আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারি না
আমাকে এরা অত্যাচার করে ভীষণ আমি যা হতে চাই না কখনো; এরা আমাকে তাই হতে বাধ্য করে যখনতখন।
এরা আমাকে চিনে না, হয়তো বা চিনে অতীতের মতো
আমি শুধু কষ্ট দিই নিজেকে আঘাতে আঘাতে বীজবেড বানাই এরা দ্যাখে আমি কতোটা সক্ষম
আমি যেখানে যাই, সেখানেই ফিট।
মরিজের গাছে ভালো শিকড় ছেরেছে ক্ষেতে শিখেছে খাদ্য, আমার খাবার স্পর্শ পেয়ে এরা কতো সেড়ে উঠেছে এখন। তবে তার ঝাল কিরকম জানা হই নাই।
সেটা আমার সুস্থতার মাপকাঠি এরপর কেউ যদি জিজ্ঞেস করে- তুই কি ঝাল না মিষ্টি
আমি হীন হয় তোমাদের চোখের বেদনায়
আমি ক্লান্ত উন্মাদ, থেকে যাওয়ার পাশে না থাকা অধিক। এরপরও আমি নিজের কাছে ভীষণ সামান্য তুলাদন্ড হালকা শূন্য।
তবুও তোমার না থাকা জুড়ে, আগুন মানুষের বসবাস
সকালে উঠে খ্যাত’তে যাই কাজ করি পান্তা খাই, বিড়ি খাই, হাগি; কাজ করি
দুপুরে বাড়ি আসি, গোসল দিই, ভাত খাই আরাম করি
খ্যাততে যাই টুকটাক টুকটাক মাগরিবের আজান
খ্যাত থেকে উঠে আসি।
হাত-পা ধুই পানি খাই, কুচপুকুরের পাড়ে দোকানে বসি।
তারপর তোমরা বলো পচা গলাই কাঁদো; কি হাসবে দেখে আমায়?
০৪/০৩/২০২১
রাত-০৯ঃ০৭, ঘরের কোণে।নিঃসঙ্গ আগুন।
0 Comments