কবিতা আমাকে ধ্বংস করুক
আমাকে মিশিয়ে দিক পথের ধুলাই
গায়ের অলিতে গলিতে মিশে যাক রমণীদের চোখের তারাই।
একা নয় আমি একা কিভাবে সম্ভব এতোটা পথ হাটতে হবে ভেবে স্বরণ করলাম জীবনানন্দ কে।
জীবনের অর্থ দেখিয়ে গেছেন যারা তার প্রতারক নন আমার মতো।
আমাকে বিক্রি করো কষায়ের হাতে
আমাকে বাজার উঠাক কেটে কেটে বিক্রি করুক
আমাকে খাক যাদের মধ্যে আভিজাত্যের আকাঙ্ক্ষা
আমি মনে আনতে চাই না সেই অভাব যা আমাকে প্রতি মুহূর্ত টেনে ধরে, তবু্ও আমি জোড় করে জমিতে যাচ্ছি বাগানে যাচ্ছি যেনো ভুলে থাকা যায়
সেখানেও তুমি নানান ভাবে এসে পরো
আমার কাজের ব্যাঘাত ঘটে, কাজ এগোয় না
গোছালো হয় না অপরিপূর্ণই থেকে যায় সবসময়
সেই অভাব আমাকে কুরে কুরে খাই
যেনো শেষ প্রান্তে আমি পৌছে গেছি অথবা পৌছাবো সেই সম্ভাবনা আমাকে অসম্ভব করে ফ্যালে সময়ের গায়ে গাই।
এদিকে কবিতা আমাকে একলা পেয়ে খাই যেনো নিঃস্ব করে দেয় আমাকে।
আমি কথা বলতে পারি না কারো সাথে ভালো ভাবে
মনে হয় অসুন্দর্য থেকে যায় কলঙ্কের খুত থেকে যায় প্রত্যাহিক জীবনে।
আরো লিখবো আমি ভালোবেসে কি করি সেইসব ঘটনা প্রবাহ।
আমি কথা দিলাম তোমাকে স্বরণ করে।


০৬/০৩/২০২১
দুপুর-১২ঃ০৮, ঘরের কোণে। একলা দুপুর।