ঝর্ণা তুমি আমাকে খেয়ে ফেলেছো কর্মে

ঝর্ণা তুমি আমাকে খেয়ে ফেলেছো কর্মে
এবার অবসর খাবে ভেবেই কি এতো আগ্রহ তোমার?
খাও এই যে আমার ভিতরে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন, তোমার রস গোল্লা ভিতরে আছে ডুবে যাবার মতো ঝুল।
এবার তুমি খুলো হাড়ির মুখে দেখো আমি দেখতে কেমন
তুমি মৌমাছির মতো গা খুঁজে চলেছো
সেই বিশুদ্ধ বিষ, তুমি পান করে মরে যাবে?
না ঝর্ণা তুমি আমাকে না করো না
তুমি এসেছিলে আগে যেনো জন্মেরও আগে আমি এসছিলাম তোমার কাছে কতো না পরিচিত।
তুমি কি চাও নারী হিসেবে পুরুষের কাছে  হয়তো বা তার সব নেই কো আমার ভিতর
তবে আমি যা দিবো তা তোমাকে আঁটকে ফেলবে মাকড়াসের জালে।
আমি এখানে কোনো বাদি কিংবা বিবাদী নই।
ঝর্ণা তুমি যতো দূরেই থাকো না কেনো
আমি মনে করে যাবো তুমি এইতো হাতে গুনা কয়েক দিনের ফারাক মিটিয়ে নিবো।
তবুও তোমাকে দিয়ে পা মুছে নিবো
দুপুরে গোসলের পর গা পায়ে তেল দিয়ে নিবো
কোনো কোনো দিন গা পা খুচে নিবো
আমি সাবান দেই না সেই এলার্জির পর ডাক্তারের প্রেস্কেপশনের পর।
তুমি চাইলে একসাথে গোসল করবো আমার গা শ্যাম্পু দিয়ে কসলে দিবে।
কতো খানি ফাকা তোমার আশার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত লিখে যাবো।
তুমি আসলে কবিতার আর কতোটা মূল্য থাকে জীবনে বলো?
ঝর্ণা দেখা হবে ক্ষত নিয়ে আগুন জ্বালাতে...


১০/০৩/২০২১
রাত-১১ঃ১১, ঘরের কোণে। আগুন।

Post a Comment

0 Comments