মেয়ে পক্ষ থেকে লোক এসেছিলো
চারজন ঘোটকসহ পাঁচজন
মা পাগলির মতো ডেকে যাচ্ছে চিল্লে চিল্লে আমরা ছোট্ট পুকুরের একোণ ওকোণ এ
যেনো মা আমার থেকে বেশি এক্সসাইটেড
মুখোমুখি সদর দরজায় বুড় লোক দেখে মনে হলো মেয়ের বাবা হয়তোবা, পায়ের স্যান্ডেল খুলছে আমি বললাম জুতা খুলতে হবে না সমস্যা নেই ভিতরে আসেন।
এদিকে আমায় হড়িঘূন যেতে হলো বাপকে ডাকতে
বাপ আসলো না, হাটু গেড়ে  জমি নিরাচ্ছে
ওখান থেকেই যা বলার বলে দিলো
আমি ফিরে আসতে আসতে ভাবি কোথায় সিগারেট টা জ্বালায়, এরপর তাদের সাথে কি কথা বলবো। চাপ নাই;
বাড়িতে এসে বললাম আসতে পারবে না
সবাই আমাকে বলছে ভালো কাপড় পড় যা
আমি তো অবাক হয় না, কিন্তু রেগে যায় শেষমেষ কাপড় বদলে তাদের কাছে যায়, গামছা কাঁধে ছিলো কি ছিলো না সে কথা আর মনে না, মনে করার চেষ্টা এর আগেও একবার করেছিলাম।
ঘরে ঢুকেই বললাম- আমি আসলাম
তারা কেউ কিছু বলছেনা
আমি বললাম আব্বা আসতে পারবে না
তার চুপ কেউ কথা বলে না
আমি বললাম আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি
শুধু নাম ইসরাফিল একথা বলতে ভুলে যায়, নাকি বলেছি মনে নাই, তবে মেয়েরসহ কারো নামই জিজ্ঞেস করিনি।
তাদের একজন দেখে মনে হলো স্মার্ট হবে লোকটা
সে কাপাকাপা গলায় বললো- তুমি পাত্র?
আমি বলাম হ্যা, বলে মাথা নিচু করলাম সামন্য
বললাম আমার দু'বছর ড্রোপ আছে
সে বললো অনার্স শেষ হয় নাই
আমি বললাম না খুললেই পরীক্ষা হবে
এই করোনায় তো সব কিছু এলোমেলো হয়ে গেছে
ঘোটকের পাশের লোক বললো হয় বাচ্চা কাচ্চাদেরও লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে
তাকে দেখে মনে হয় একজন ড্রাইভার
এবার ঘোটক কথা কয় এটি মেয়ের দাদা, যাকে ভেবেছিলাম বাবা, এবার পাশের দু'জন মেয়ের ফোবা বাজার থেকে পকেটের টাকাই তাদের জন্য এক প্যাকেট মিঃকুকি, এক প্যাকেট চানাচুর,
দুইটি আপেল দুইটি মাল্টা পকেটের টাকায় কিনে আনলাম, তারা যখন খেতে চাই না তখন সংশয় জাগে মনে
কেউ একজন উঠতে চাই, আমি বলি- আমি উঠলাম।
আমি প্রথমেই বলেছিলাম
কিছু জিজ্ঞেস করার থাকলে করতে পারেন?


২২/০২/২০২১
রাত-০৮ঃ০৩, ঘরের কোণে।ফাগুন।